Friday, November 24, 2017

মুক্তির মন্দির সোপান তলে

C
মুক্তির মন্দির সোপান তলে কত
প্রান হল বলি দান, লেখা আছে অশ্রু জলে
কত বিপ্লবী বন্ধুর রক্তে রাঙা
বন্দিশালার ঐ শিকল ভাঙা
তারা কি ফিরিবে আর সু প্রভাতে
কত তরুন অরুন গেছে অস্তাচলে              ।।

যারা সর্গগত তারা এখানো জানে
সর্গের চেয়ে প্রিয় জন্মভুমি
এসো স্বদেশ ব্রতের মহা দিক্ষালোভী
সেই মৃত্যুঞ্জয়ীদের চরণ চুমি
যারা জীর্ণ জাতির বুকে জাগালো আশা
মৌনমলিন মুখে জাগালো ভাষা
আজি রক্ত কমলে গাঁথা মাল্যখানি
বিজয়লক্ষী দেবে তাদেরই গলে           ।।

নোঙ্গর তোল তোল G#

G#
হেইয়া রে হেইয়া হা
নোঙ্গর তোল তোল সময় যে হল হল
নোঙর তোল তোল        ।।

হাওয়ার বুকে নৌকা এবার জোয়ারে ভসিয়ে দাও
শক্তমুঠির বাধনে বাধনে বজ্র বাধিয়া নাও
সমুখে এবার দৃষ্টি তোমার
পেছনের কথা ভোল      ।।

দুর দিগন্তে সুর্য রথে দৃষ্টি করেছ স্থির
সবুজ আশার সপ্নেরা আজ নয়নে করেছে ভীড়
হদয় তোমার মুক্তির আলো
আলোর দুয়ার খোল       ।।

দুর্গম গিরি কান্তার মরু C#


দুর্গম গিরি কান্তার মরু দুস্তর পারাবার হে!
লঙ্ঘিতে হবে রাত্রি নিশীথে, যাত্রীরা হুঁশিয়ার।।

দুলিতেছে তরী, ফুলিতেছে জল
ভুলিতেছে মাঝি পথ-
ছিঁড়িয়াছে পাল কে ধরিবে হাল
কার আছে হিম্মত।
কে আছো জোয়ান, হও আগুয়ান
হাঁকিছে ভবিষ্যত,
তুফান ভারী, দিতে হবে পাড়ি
নিতে হবে তরী পার।।

তিমির রাত্রি, মাতৃ-মন্ত্রী সান্ত্রীরা সাবধান-
যুগ-যুগান্ত সঞ্চিত ব্যথা ঘোষিয়াছে অভিযান।
ফেনাইয়া ওঠে বঞ্চিত বুকে পুঞ্জিত অভিমান,
ইহাদেরে পথে নিতে হবে সাথে,
দিতে হবে অধিকার।।

অসহায় জাতি মরিছে ডুবিয়া
জানে না সন্তরণ-
কান্ডারী, আজি দেখিব তোমার 
মাতৃ-মুক্তি-পণ।
হিন্দু না ওরা মুসলিম-ওই জিজ্ঞাসে কোন্ জন,
কান্ডারী, বল, ডুবিছে মানুষ 
সন্তান মোর মার।।

ফাঁসির মঞ্চে গেয়ে গেল যারা 
জীবনের জয়গান-
আসিঅলক্ষ্যে দাঁড়ায়েছে তারা দিবে কোন বলিদান!
আজি পরীক্ষা জাতির অথবা 
জাতেরে করিবে ত্রাণ,
দুলিতেছে তরী, ফুলিতেছে জল
কান্ডারী হুঁশিয়ার।

নজরুল সংগীত

স্বাধীন স্বাধীন দিকে দিকে G#


স্বাধীন স্বাধীন দিকে দিকে জাগছে বাঙালিরা
রুখবে তাদের কারা, আজ রুখবে তাদের কারা।।

আকাশ বাতাস পথে প্রান্তরে জয়ধ্বনি শোনা যায়
শৃঙ্খল বেড়ি কে আর পরাবে ওদের কঠিন পায়।
জীর্ণ ধরার ভিত ধরে ওরা দেবেই দেবে যে নাড়া ।।

জেনেছে ওরা ধুকে ধুকে মরা সেই তো জীবন নয়
শোষনের বুকে হানছে আঘাত নির্ভিক বরাভয়।

কণ্ঠে ওদের ঘুম ভাঙ্গানিয়া দীপ্ত শপথ গান
বিপ্লবী ওরা আধারের দেশে সুর্যের সন্তান
মহাকাল আসে মহাকাল দিক দিগন্তে সাড়া।।

কথা : আখতার হুসেন
সুর : অজিত রায়

শোন একটি মুজিবরের থেকে

C
শোন একটি মুজিবরের থেকে
লক্ষ মুজিবরের কন্ঠস্বরের ধ্বনি-প্রতিধ্বনি
আকাশে বাতাসে ওঠে রণী
বাংলাদেশ, আমার বাংলাদেশ।।

এই সবুজের বুকে চেরা মেঠো পথে
আবার যে যাব ফিরে, আমার
হারানো বাংলাকে আবার তো ফিরে পাব
শিল্পে-কাব্যে কোথায় আছে
হায়রে এমন সোনার খনি।।

বিশ্ব কবিরসোনার বাংলা’,
নজরুলেরবাংলাদেশ’,
জীবনানন্দেররূপসী বাংলা
রূপের যে তার নেই কো শেষ, বাংলাদেশ।

জয় বাংলা বলতে মন রে আমার
এখনও কেন ভাবো আবার
হারানো বাংলাকে আবার তো ফিরে পাব
অন্ধকারে পূর্বাকাশে-, উঠবে আবার দিনমণি।

কথা: গৌরী প্রসন্ন মজুমদার
সুর: অংশুমান রায়

মুজিব বাইয়া যাও রে

C#
মুজিব বাইয়া যাও রে নির্যাতিত দেশের মাঝে
জনগনের নাওরে মুজিব বাইয়া যাও রে।।

ও মুজিব রে, ছলে কলে চব্বিশ বছর রক্ত খাইলো চুষি
জাতিরে বাচাইতে যাইয়া তুমি হইলা দোষী রে।।

মুজিব রে, খিদের জ্বালায় হৃদয় কালা শক্তি দানা মুখে
কথায় কথায় চালায় গুলি বাঙ্গালীদের বুকে রে।।

মুজিব রে, আকাশ কান্দে বাতাস কান্দেরে বাঙ্গালী
নিপিড়িত মানুষ কান্দে মুজিব মুজিব বলিরে।।

মুজিব রে, বাঙ্গালীদের ভাগ্যাকাশে এলা ‍দুখের নিশি
তুমি বাংলার চির সম্রাট অন্ধকারের শশিরে।।

Monday, May 8, 2017

বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত (গাওয়ার জন্য পূর্ণপাঠ)

আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালবাসি
চিরদিন তোমার আকাশ, তোমার বাতাস, আমার প্রাণে

ওমা আমার প্রাণে বাজায় বাঁশি 
সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালবাসি।।


ওমা ফাগুনে তোর আমের বনে ঘ্রানে পাগল করে
মরি হায় হায়রে
ও মা, ফাগুনে তোর আমের বনে ঘ্রানে পাগল করে,
ও মা, অঘ্রানে তোর ভরা ক্ষেতে কী দেখেছি
আমি কী দেখেছি মধুর হাসি।
সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালবাসি।।

কী শোভা, কী ছায়া গো, কী স্নেহ, কী মায়া গো-
কী আঁচল বিছায়েছ বটের মুলে, নদীর কুলে কুলে।
মা, তোর মুখের বানী আমার কানে লাগে সুধার মতো,
মরি হায় হায়রে-
মা, তোর মুখের বানী আমার কানে লাগে সুধার মতো,
মা তোর বদনখানি মলিন হলে, আমি নয়ন 
ও মা, আমি নয়নজলে ভাসি।
সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালবাসি।।

Friday, May 5, 2017

ভারতের জাতীয় সংগীত

জনগণমন-অধিনায়ক জয় হে  
ভারত ভাগ্য বিধাতা
পঞ্জাব সিন্ধু গুজরাট মরাঠা
দ্রাবিড় উৎকল বঙ্গ
বিন্ধ্য হিমাচল যমুনা গঙ্গা
উচ্ছল জলধি তরঙ্গ
তব শুভ নামে জাগে তব শুভ আশিস মাপে
গাহে তব জয়গাথা
জনগণ মঙ্গল দায়ক জয় হে
ভারত ভাগ্য বিধাতা
জয় হে, জয় হে, জয় হে
জয় জয় জয় জয় হে

জয় বাংলা বাংলার জয়

C
জয় বাংলা বাংলার জয়
হবে হবে হবে হবে নিশ্চয়
কোটি প্রাণ এক সাথে জেগেছে অন্ধ রাতে
নতুন সূর্য ওঠার এই তো সময়।।

বাংলার প্রতি ঘর ভরে দিতে চাই মোরা অন্নে
আমাদের রক্ত টগবগ দুলছে মুক্তির দীপ্ত তারুণ্যে
নেই ভয়
হয় হোক রক্তের প্রচ্ছদপট
তবু করি না করি না করি না ভয় ।।

অশ্বথের ছায়ে যেন রাখালের বাঁশরি হয়ে গেছে একেবারে স্তব্ধ
চারিদিকে শুনি আজ নিদারুণ হাহাকার আর ওই কান্নার শব্দ
শাসনের নামে চলে শোষণের সুকঠিন যন্ত্র
বজ্রের হুংকারে শৃঙ্খল ভাঙতে
সংগ্রামী জনতা অতন্দ্র
আর নয়
তিলে তিলে বাঙালির এই পরাজয়
তবু করি না করি না করি না ভয়।।

ভুখা আর বেকারের মিছিলটা যেন ওই দিন দিন শুধু বেড়ে যাচ্ছে
রোদে পুড়ে জলে ভিজে অসহায় হয়ে আজ ফুটপাতে তারা ঠাঁই পাচ্ছে
বার বার ঘুঘু এসে খেয়ে যেতে দেবো নাকো আর ধান
বাংলার দুশমন তোষামোদী-চাটুকার
সাবধান সাবধান সাবধান
এই দিন
সৃষ্টির উল্লাসে হবে রঙিন
আর মানি না মানি না কোনও সংশয়।।

মায়েদের বুকে আজ শিশুদের দুধ নেই অনাহারে তাই শিশু কাঁদছে
গরীবের পেটে আজ ভাত নেই ভাত নেই দ্বারে দ্বারে তাই ছুটে যাচ্ছে
মা-বোনের পরনে কাপড়ের লেশ নেই লজ্জায় কেঁদে কেঁদে ফিরছে
অসুধের অভাবে প্রতিটি ঘরে ঘরে রোগে শোকে ধুকে ধুরে মরছে
অন্ন চাই বস্ত্র চাই বাঁচার মত বাঁচতে চাই
অত্যাচারী শোষকের আজ মুক্তি নাই মুক্তি নাই মুক্তি নাই।।


গীতিকার: গাজী মাজহারুল আনোয়ার
সুরকার: আনোয়ার পারভেজ