Saturday, December 17, 2016

প্রথম বাংলাদেশ আমার শেষ বাংলাদেশ

প্রথম বাংলাদেশ আমার শেষ বাংলাদেশ
জীবন বাংলাদেশ আমার মরণ বাংলাদেশ।
বাংলাদেশ বাংলাদেশ বাংলাদেশ।।

আমার আঙ্গিনায় ছড়ানো বিছানো
সোনা সোনা ধূলিকণা।
মাটির মমতায় ঘাস ফসলে
সবুজের আল্পনা।
আমার তাতেই হয়েছে
স্বপ্নের বীজ বোনা।

অরুপ জোছনায় সাজানো রাঙ্গানো
ঝিলিমিলি চাঁদ দোলে।
নিবিড় বনছায় পিউ পাপিয়া
হৃদয়ের দ্বার খোলে।
আমার তাতেই রেখেছি
শান্তির দীপ জ্বেলে।


গীতিকারঃ মনিরুজ্জামান মনির
সুরকারঃ আলাউদ্দিন আলী

ভেবোনাগো মা, তোমার ছেলেরা D#

D#
ভেবোনাগো মা, তোমার ছেলেরা 
হারিয়ে গিয়েছে পথে।
ওরা আছে মাগো হাজার মনের বিপ্লবী চেতনাতে।।

ওরা গিয়েছিল রাতের আঁধারে সূর্য আনার জন্য,
সারা দেশ জুড়ে রক্তপদ্ম ফোঁটালো যে অনন্য!
দেখেছে সে ফুল হাজার মানুষ, বাংলার পথে পথে।।

ওরা এঁকে গেছে সবুজ মাটিতে সজীব প্রাণের স্বপ্ন,
দলে দলে ফোঁটে, সে ফুল এবার বিলায়ে মধুর গন্ধ!
দুঃখ কোরো না মাগো আমার, চেয়ে দেখো রাঙা প্রাতে।।

মাগো ভাবনা কেন

A#
মাগো ভাবনা কেন
আমরা তোমার শান্তি প্রিয় শান্ত ছেলে
তবু শত্র এলে অশ্ত্র হাতে ধরতে জানি
তোমার ভয় নেই মা
আমরা প্রতিবাদ করতে জানি(২) ।।

আমরা হারবনা,হারবনা
তোমার মাটির একটি কণাও ছাড়বনা(২)
আমরা পাথর দিয়ে দূর্গ ঘাটি গড়তে জানি ।।

আমরা অপমান সইবনা
ভীরুর মত ঘরের কোণে রইবনা(২)
আমরা আকাশ থেকে বজ্র হয়ে ঝড়তে জানি।।

আমরা পরাজয় মানবনা
দূর্বলতায় বাঁচতে শুধু জানবোনা(২)
আমরা চিরদিনই হাসি মুখে মরতে জানি।।

ও আমার দেশের মাটি

Cm
ও আমার দেশের মাটি, তোমার ‘পরে ঠেকাই মাথা।
তোমাতে বিশ্বময়ীর, তোমাতে বিশ্বমায়ের আঁচল পাতা ॥

তুমি মিশেছ মোর দেহের সনে,
তুমি মিলেছ মোর প্রাণে মনে,
তোমার ওই শ্যামলবরন কোমল মূর্তি মর্মে গাঁথা ॥

ওগো মা, তোমার কোলে জনম আমার, মরণ তোমার বুকে।
তোমার ‘পরে খেলা আমার দুঃখে সুখে।
তুমি অন্ন মুখে তুলে দিলে,
তুমি শীতল জলে জুড়াইলে,
তুমি যে সকল-সহা সকল-বহা মাতার মাতা ॥

 অনেক তোমার খেয়েছি গো (ও মা), অনেক নিয়েছি মা–
তবু জানি নে-যে কী বা তোমায় দিয়েছি মা!
আমার জনম গেল বৃথা কাজে,
আমি কাটানু দিন ঘরের মাঝে–
তুমি বৃথা আমায় শক্তি দিলে শক্তিদাতা ॥

জন্ম আমার ধন্য হলো মাগো

D
জন্ম আমার ধন্য হলো মাগো,
এমন করে আকুল হয়ে আমায় তুমি ডাক।।

তোমার কথায় হাসতে পারি,
তোমার কথায় কাঁদতে পারি,
মরতে পারি তোমার বুকে
বুকে যদি রাখো আমায়-
বুকে যদি রাখো মাগো।।

তোমার কথায় কথা বলি পাখীর গানের মত,
তোমার দেখায় বিশ্ব দেখি বর্ণ কত শত,
তুমি আমার, তুমি আমার খেলার পুতুল,
আমার পাশে থাকো মাগো।

তোমার প্রেমে তোমার
গন্ধে পরান ভরে রাখি
এই তো আমার জীবন মরণ
এমনি যেন থাকি
বুকে তোমার, বুকে তোমার ঘুমিয়ে গেলে
জাগিয়ে দিও নাকো আমায়
জাগিয়ে দিও নাকো মাগো।।

এইতে আজ মোরা মিলেছি সব

C
এইতে আজ মোরা মিলেছি সব মোরা একই সাথে গাইবো গান
মোরা লক্ষ প্রান করি একটি পন মোরা একই পথে যাব মুক্ত প্রান।।

এ নগর মুখরিত কম্পিত গ্রাম সকলের মুখে মুখে সংগ্রামী তান
শান্তির ঘর চাই স্বস্তির ধাম যুদ্ধকে ঘৃনা করি ভালবাসি প্রান।।

আয়রে আয় আরো সামনে যাই আর একটু গেলে পাব মুক্তি ঘাট
মোরা শংকা হীন মোরা ক্লান্তি হীন মোরা বিঘœ পায়ে দলি মৃত্যুহীন।।

যুদ্ধের কালো থাবা জীবনের পরে প্রতিদিন অগনিত ফুল ঝরে পড়ে
সভ্যতা ধ্বংসের পায়তারা চলে শান্তির দাবী তাই প্রতি ঘরে ঘরে।।

ঐ তো ঐ দেখা যায় সে ঘর মোরা একই সাথে খুলবো দ্বার
এই বিশ্ব জোড়া শুধু একটি ঘর সেই একই ঘরে যাব বিশ্ব প্রান।।

কথাঃ অনিমেষ আইচ
সুরঃ ফারুক ফয়সাল

আমায় গেঁথে দাওনা মাগো

C
আমায় গেঁথে দাওনা মাগো
একটা পলাশ ফুলের মালা
আমি জনম জনম রাখব ধরে
ভাই হারানোর জ্বালা

আসি বলে আমায় ফেলে
সেই যে গেল ভাই
তিন ভুবনের কোথায় গেলে
ভাইয়ের দেখা পাই
দেবো তারই সমাধিতে আমি
তোমরা হাতের মালা
ভাই হারানোর জ্বালা ।।

তারই শোকে কোকিল ডাকে
ফোটে বনের ফুল
ফুল পাবনের মধুর তিথী
কেঁদে হয় আকুল
আজও তারই স্মরন করে সবাই
সাজাই ফুলের ডালা
ভাই হারানোর জ্বালা ।।

বাংলার হিন্দু বাংলার বৌদ্ধ A#

বাংলার হিন্দু বাংলার বৌদ্ধ বাংলার খৃষ্টান বাংলার মুসলমান
আমরা সবাই বাঙ্গালী।।

তিতুমীর ঈসাখাঁ সিরাজ সন্তান এই বাংলাদেশের
ক্ষুদিরাম সুর্যসেন নেতাজী সন্তান এই বাংলাদেশের (২)
এই বাংলার কথা বলতে গিয়ে
বিশ্বটাকে কাঁপিয়ে দিল কার সে কণ্ঠস্বর
মুজিবর সে যে মুজিবর, জয়বাংলা বলরে ভাই।।

ছয়টি ছেলে বাংলাভাষার চরনে দিল প্রান
তারা ব’লে গেল ভাষা’ই ধম ভাষা’ই মোদের মান। (২)

মাইকেল বিশ্বকবি নজরুল সন্তান এই বাংলাদেশের
কায়কোবাদ বিবেকানন্দ অরবিন্দু সন্তান এই বাংলাদেশের (২)
এই বাংলার কথা বলতে গিয়ে
বিশ্বটাকে কাঁপিয়ে দিল কার সে কণ্ঠস্বর
মুজিবর সে যে মুজিবর, জয়বাংলা বলরে ভাই।।


কথা: গৌরিপ্রসন্ন মজুমদার, সুরকার: শ্যামল গুপ্ত

ও আমার বাংলা মা তোর


ও আমার বাংলা মা তোর আকুল করা
রুপের সুধায় জীবন আমার যায় জুড়িয়ে
ও আমার বাংলা গো।।

ফাগুনে তোর কৃষ্ণচুড়া 
পলাশ বনে কিসের হাসি
চৈতি রাতে উদাস সুরে 
রাখাল বাজায় বাঁশের বাঁশি।।

বোশেখে তোর রুদ্র ভয়াল
কেতন উড়ায় কাল বোশেখী
জোষ্ঠি মাসে বনে বনে
আম কাঠালের হাঠ বসে কি।
শ্যামল মেঘের ভেলায় চড়ে
আষাঢ় নামে মোমার বুকে
শ্রাবন ধারায় বরষাতে কি
সিনান করিষ পরম সুখে।।

নিলাম্বরী শাড়ী পরে 
শরৎ আসে ভাদর মাসে
অঘ্রানে তোর ধানের ক্ষেতে
সোনা রঙ্গে ফসল হাসে।
নিত্য চাষীর কুড়ে ঘরে 
দিস মাগো তুই আচল ভরে
পৌষ পাবনের নব্ন্ন ধান
আপন হাতে উজাড় করে।।

মোদের গরব মোদের আশা

C#
মোদের গরব মোদের আশা আমরি বাংলা ভাষা
তোমার কোলে তোমার বোলে কতই শান্তি ভালোবাসা।।

কি যাদু বাংলা গানে- গান গেয়ে দার মাঝি টানে
গেয়ে গান নাচে বাউল গান গেয়ে ধান কাটে চাষা।।

বিদ্যাপতি, চন্ডী, গোবিন-হেম, মধু, বঙ্কিম নবীন
ওই ফুলেরই মধুর রসে বাঁধল সুখে মধুর বাসা।।

বাজিয়ে রবি তোমার বীণে-আনল মালা জগৎ জিনে
তোমার চরন তীর্থে মাগো জগত করে যাওয়া আসা।।

Friday, December 16, 2016

সোনা সোনা সোনা লোকে বলে সোনা

C
সোনা সোনা সোনা লোকে বলে সোনা
সোনা নয় ততো খাটি
বলো যতো খাটি তার চেয়ে খাটি
বাংলাদেশের মাটি রে
আমার বাংলা দেশের মাটি,
আমার জন্মভুমির মাটি।।

ধন ধন বল যত ধন দুনিয়াতে
হয়কি তুলনা বাংলার তারো সাথে
কত মার ধন মানিক রতন
কত জ্ঞানী গুনী কত মহাজন
এনছে আলোর সুর্য এখানে
আধারের পথ কাটি রে
আমার বাংলা দেশের মাটি---।।

এ মাটির তলে ঘুমায়েছে অবিরাম
রফিক শফিক বরকত কত নাম
কত তিতুমীর কত ইশা খাঁন
দিয়েছে জীবন দেয়নিতো মান
রক্ত সয্যা পাতিয়া এখানে ঘুমায়েছে পরিপাটি রে
আমার বাংলা দেশের মাটি---।।

যে দেশেতে সাপলা সালুক ঝিলের জলে ভাসে

A#
যে দেশেতে সাপলা সালুক ঝিলের জলে ভাসে
যে দেশেতে কলমি কমল কনক হয়ে হাসে
সেই আমাদের জন্ম ভূমি মাতৃ ভূমি বাংলাদেশ।।

যে দেশেতে বজরা পানসি উজান ভাটি  চলে
যে দেশেতে মাঝি মাল্লা নতুন কথা বলে
সেই আমাদের জন্ম ভূমি মাতৃ ভূমি বাংলাদেশ।।

যে দেশেতে নদ নদীরা এক সাগরে মেশে
যে দেশেতে কাঁখের কলসী নদীর ঘাটে আসে
যে দেশেতে খুশীর জোয়ার সকল বারো মাসে
সেই আমাদের জন্ম ভূমি মাতৃ ভূমি বাংলাদেশ।।

সব কটা জানালা খুলে দাও না

C- F
সব কটা জানালা খুলে দাও না
আমি গাইবো গাইবো বিজয়ের ই গান
ওরা আসবে চুপি চুপি যারা এই দেশটাকে
ভালে বেসে দিয়ে গেছে প্রান।।

চোখ থেকে মুছে ফেল অশ্রুটুকু
এমন খুশীর দিনে কাঁদতে নেই
হারানো স্মৃতির বেদনাতে
একাকার করে মন রাখতে নেই
ওরা আসবে চুপি চুপি
কেউ যেন ভুল করে গেওনাকো ঘুম ভাঙ্গা গান।।

আজ আমি সারা নিশি থাকবো জেগে
ঘরের আলো সব আঁধার করে 
ছড়িয়ে রাখো আতর গোলাপ
এদেশের প্রতিটি ঘরে ঘরে
ওরা আসবে চুপি চুপি
কেউ যেন ভুল করে গেয়োনাকো মন ভাঙ্গা গান।।

কথাঃ নজরুল ইসলাম বাবু।

একবার যেতে দেনা

A#
একবার যেতে দেনা আমার ছোট্ট সোনার গায়
যেথায় কোকিল ডাকে কুহু, দোয়েল ডাকে মুহু মুহু
নদী যেথায় ছুটে চলে আপন ঠিকানায়।।

পিদিম জ্বালা সাঝের বেলা শান বাঁধানো ঘাটে
গল্প কথার পানসি ভিরে রূপ কাহিনীর বাঁকে
মধুর মধুর মায়ের কথায় প্রান জুড়িয়ে যায়।।

ফসল ভরা সপ্ন ঘেরা পথ হারানো ক্ষেতে
মৌ মৌ মৌ গন্ধে যেথায় বাতাস থাকে মিঠে
মমতারই শিশির গুলো জড়িয়ে থাকে পায়।।

এক নদী রক্ত পেরিয়ে

A#
এক নদী রক্ত পেরিয়ে
বাংলার আকাশে রক্তিম সুর্য আনলে যারা
তোমাদের এই ঋন কোনদিন শোধ হবে না
না না না শোধ হবে না।
মৃত্যুর মুখো মুখি দাড়িয়ে
সাত কোটি মানুষের জীবনের সন্ধান আনলে যারা
সে দানের মহিমা কোনদিন ম্লান হবে না।।

হয়তো বা ইতিহাসে তোমাদের নাম লেখা রবে না
বড় বড় লেকেদের ভীড়ে
জ্ঞানী আর গুনীদের আসরে
তোমাদের কথা কেউ কবে না
তবু এই বিজয়ী বীর মুক্তি সেনা
তোমাদের এই ঋন কোনদিন শোধ হবে না।।

থাক ওরা পড়ে থাক ইতিহাস নিয়ে
জীবনের দ্বীনতা হীনতা নিয়ে।

তোমাদের কথা রবে সাধারন মানুষের ভীড়ে
মাঠে মাঠে কিষানের মুখে, ঘরে ঘরে কিষানীর বুকে
স্মৃতি বেদনার আখি নীরে
তবু এই বিজয়ী বীর মুক্তি সেনা
তোমাদের এই ঋন কোনদিন শোধ হবে না।।

এক সাগর রক্তের বিনিময়ে

C
এক সাগর রক্তের বিনিময়ে বাংলাস স্বাধীনতা আনলে যারা
আমরা তোমাদের ভুলবো না (২)
দুঃসহ বেদনার কন্টক পথ বেয়ে শোষনের নাগপাশ ছিড়লে যারা
আমরা তোমাদের ভুলবো না (২)।।

যুগের নিষ্ঠুর বন্ধন হতে
মুক্তির এ বারতা আনলে যারা
আমরা তোমাদের ভুলবো না ভুলবো না
ভুলবো না ।।

কিষান কিষাণির গানে গানে পদ্মা মেঘনার কলতানে
বাউলের একতারাতে আনন্দ ঝংকারে
তোমাদের নাম ঝংকৃত হবে।

নতুন স্বদেশ গড়ার তরে
তোমরা চিরদিন দিশারী হবে
আমরা তোমাদের ভুলবো না ভুলবো না
ভুলবো না ।।

কথাঃ গোবিন্দ হালদার
সুরঃ আপেল মাহামুদ

মোরা একটি ফুলকে বাচাবো বলে যুদ্ধ করি

G#
মোরা একটি ফুলকে বাচাবো বলে যুদ্ধ করি
মোরা একটি মুখের হাসির জন্য অস্ত্র ধরি।।

যে মাটির চির মমতা আমার অঙ্গে মাখা
যার নদীজলে ফুলে ফলে মোর সপ্ন আঁকা
যে দেশের নীল অম্বরে মোর মেলেছে পাখা
সারাটি জীবন সে মাটির টানে অস্ত্র ধরি।।

মোরা নতুন একটি কবিতা লিখতে যুদ্ধ করি
মোরা নতুন একটি গানের জন্য যুদ্ধ করি
মোরা একখানা ভালো ছবির জন্য যুদ্ধ করি
মোরা সারা বিশ্বের শান্তি বাঁচাতে আজকে লড়ি।

যে নারীর মধু প্রেমেতে আমার রক্ত দোলে
যে শিশুর মায়া হাসিতে আমার বিশ্ব ভোলে
যে গৃহ কপোত সুখ সর্গের দুয়ার খোলে
সেই শান্তির শিবির বাঁচাতে শপথ করি।।

কথাঃ গোবিন্দ হালদার
সুরঃ আপেল মাহামুদ

এই পদ্মা এই মেঘনা এই

F
এই পদ্মা এই মেঘনা এই যমুনা সুরমা নদী তটে
আমার রাখাল মোন গান গেয়ে যায়
এ আমার দেশ এ আমার প্রেম
আনন্দ বেদনায় মিলন বিরহ সংকটে।।

এই মধুমতি ধানসিঁড়ি নদীর তীরে
নিজেকে হাড়িয়ে যেন পাই ফিরে ফিরে
এক নীল ঢেউ কবিতার প্রচ্ছদ পটে
আনন্দ বেদনায় মিলন বিরহ সংকটে।।

এই পদ্মা এই মেঘনা এই হাজর নদীর অববাহিকা
এখানে রমনী গুলো নদীর মত নদী ও নারীর মত কথা কয়।

এই অবারিত সবুজের পান্থ ছুঁয়ে নির্র্ভয়ে নিলাকাশ পরছে নুয়ে
যেন হৃদয়ের ভালবাসা হৃদয়ে ফুটে
আনন্দ বেদনায় মিলন বিরহ সংকটে।।


কথাঃ আবু জাফর
সুরঃ আবু জাফর

ধন ধান্য পুস্পে ভরা

 F
ধন ধান্য পুস্পে ভরা আমাদের এই বসুন্ধরা
তাহার মাঝে আছে দেশ এক সকল দেশের সেরা 
ও সে সপ্ন দিয়ে তৈরি সে যে স্মৃতি দিয়ে ঘেরা
এমন দেশটি কোথাও খুজে পাবে নাকো তুমি
সকল দেশের রানী সে যে আমান জন্ম ভুমি।।

পুস্পে পুস্পে ভরা সাখী কুঞ্জে কুঞ্জে গাহে পাখি
গুঞ্জরিয়া আসে ওলি পুঞ্জে পুঞ্জে ধেয়ে
তারা ফুলের উপর ঘুমিয়ে পড়ে ফুলের মধু খেয়ে।।

ভাইয়ের মায়ের এত স্নেহ কোথায গেলে পাবে কেহ
ওমা তোমার চরন দুটি বক্ষে আমার ধরি
আমার এই দেশেতে জন্ম যেন এই দেশেতে মরি।।


কথাঃ দিজেন্দ্র লাল রায়
সুরঃ দিজেন্দ্র লাল রায়

মাঝি নাও ছাইড়া দে

D#
মাঝি নাও ছাইড়া দে ও মাঝি পাল উড়াইয়া দে
গারে মাঝি গা কোন গান।।

একদিন তোর নাও মাঝি 
ভাসবে নারে নীল নদীর জলে ও মাঝিরে....
সেই দিন তোর গান মাঝি 
শুনবে না কেউ গাইবেনা বলে (২)
ও ---- পারের নৌকা কাইড়া নেবে সুর।।

যন্ত্রের নাও ধোয়া ছাইরা 
করবে আধার নীল আকাশটারে ও মাঝিরে....
সেই দিন তোর নাও মাঝি 
শুন্য হয়ে থাকবেরে পারে ও মাঝিরে....
ও----- চলরে মাঝি যাইরে বহু দুর।।

এক তারা তুই দেশের কথা বল রে এবার বল

B
এক তারা তুই দেশের কথা বল রে এবার বল
আমাকে তুই বাউল করে সঙ্গে নিয়ে চল
জীবন মরন মাঝে তোর সুর যেন বাজে।।

একটি গানই আমি শুধু গেয়ে যেতে চাই
বাংলা আমার আমি যে তার আরতো চাওয়া নাইরে
প্রানের প্রিয় তুমি মোর সাধের জন্মভুমি।।

একটি কথা আমি শুধু বলে যেতে চাই
বাংলা আমার সুখে দুখে পাই যেন গো ঠাই রে
তোমায় বরন করে যেন যেতে পারি মরে।।

একটি বাংলাদেশ তুমি জাগ্রত জনতা A#

A#
একটি বাংলাদেশ তুমি জাগ্রত জনতা
সারা বিশ্বের বিস্ময় তুমি আমার অহঙ্কার।।

তোমার স্বাধীনতা গোরব সৌরভে
এনেছে আমার প্রানের সুর্যে রৌদ্রের সজীবতা
দিয়েছি সোনালী সুখী জীবনের দীপ্ত অঙ্গীকার।।

তোমার ছায়া ঢাকা রৌদ্দুরে প্রান্তরে
দেখেছি অতল অমর বর্নে মুক্তির স্নেহ মাখা
জেনেছি তুমি জীবন মরন বিমুগ্ধ চেতনার।।


কথাঃ নজরুল ইসলাম বাবু।

আমার দেশের মাটির গন্ধে

C
আমার দেশের মাটির গন্ধে ভরে আছে সারা মন
শ্যমল কোমল পরশ ছড়ায়ে নেই কিছু প্রয়োজন।।

প্রানে প্রানে যেন তাই এই সুর সুধু পাই
দিগন্ত জুড়ে সোনা রং ছবি  একে যাই সারাক্ষন।।

বাতসে আমার সবুজ সপ্ন দুলছে
কন্ঠে কন্ঠে তারই ধ্বনি শুধু তুলছে।

গানে গানে আজি তাই এই কথা বলে যাই
নতুন আশার এনছি জীবনে সুর্যের এ লগন।।

হায়রে আমার মন মাতানো দেশ

হায়রে আমার মন মাতানো দেশ
হায়রে আমার সোনা ফলা মাটি
রূপদেখে তোর কেনা আমার পরান ভরে না
(তোরে) এত ভালবাসি তবু পরান ভরে না।।

যখন তোর ওই গায়ের ধারে ঘুঘু ডাকা নিঝুম কোন দুপুরে
হংস মিথুন ভেসে বেড়ায় শাপলা ফোটা টলটলে কোন পুকুরে
হায়ওে আমার বুকের মাঝে হাজার তারের বীনা বাজে
অবাক চোখে পলক পড়ে না।।

যখন তোর ওই আকাশ নীলে পাল তুলে যাই সাত সাগরের পসরায়
নদীর বুকে হাতছানি দেয় লক্ষ ঢেউয়ের মানিক গুনার ইশারায়
নয়ন পাখি দিশাহারা প্রজাপতির পাখায় পাখায়
কাজের কথা মনে পড়ে না।।

সূর্যদয়ে তুমি সূর্যাস্তেও তুমি

F
সূর্যদয়ে তুমি সূর্যাস্তেও তুমি
ও আমার বাংলাদেশ প্রিয় জন্মভুমি।।

ধানসিড়ি নদীর তীরে
তোর খুশির কাঁকন যেন বাজে
ও কাশবনে ফুলে ফুলে
তোর মধুর বাসর বুঝি সাজে
তোর একতারা হায় করে বাউল আমায়
সুরে সুরে।।

আঁকা বাঁকা মেঠো পথে
তোর রাখল হৃদয় যেন বাজে
ও পদ্ম কাঁপা দীঘির ঝিলে
তোর সোনার সপ্ন খেয়া ভাসে
তোর এ আঙ্গিনায় ধরে রাখিস আমায়
চির তরে।।

যে মাটির বুকে ঘুমিয়ে আছে

A#m

A#m.                               F.  A#m  
যে মাটির বুকে ঘুমিয়ে আছে লক্ষ মুক্তি সেনা 
    G#          F#
দেনা তোরা দেনা 
C#                 G#                   A#m
সেমাটি আমার অঙ্গে মাখিয়ে দেনা।।

A#m.              C#
রোজ এখানে সুর্য ওঠে আশার আলো নিয়ে
                G#              C# F.          C#     A#m
জীবন আমার ধন্য যে হয় আলোর পরশ পেয়ে
A#                G#                  C#              A#m
এ মাটি ছেড়ে অন্য কোথাও যেতে বলিস না।।

রক্তে যাদের জেগে ছিল স্বাধীনতার নেশা
জীবন দিয়ে রেখে গেছে মুক্ত পথের দিশা
সে পথ থেকে ভিন্ন পথে যেতে বলিস না।।


কথাঃ নাসিমা খান
সুরঃ সেলিম আশরাফ

পুর্ব দিগন্তে সুর্য উঠেছে

C#
পুর্ব দিগন্তে সুর্য উঠেছে রক্ত লাল রক্ত লাল রক্ত লাল
জোয়ার এসেছে গন সমুদ্রে রক্ত লাল রক্ত লাল রক্ত লাল
বাধন ছেড়ার হয়েছে কাল হয়েছে কাল হয়েছে কাল।।

শোষনের দিন শেষ হয়ে আসে
অত্যাচারীরা কাপে আজ ত্রাসে
রক্তে আগুনে প্রতিরোধ গড়ে (৪)
নয়া বাংলার নয়া সকাল নয়া সকাল নয়া সকাল।।

আর দেরি নয় উড়াও ও নিশান
রক্তে বাজুক প্রলয়ের বিষান
বিদ্যুৎ গতি হোক অভিযান (৪)
ছিড়ে ফেল সব শত্র জাল শত্র“ জাল শত্র“ জাল।।

কথাঃ গোবিন্দ হালদার
সুরঃ সমর দাস

তীর হারা এই ঢেউয়ের সাগর পারি দেব রে

A#m
তীর হারা এই ঢেউয়ের সাগর পারি দেব রে
আমরা কজন নবীন মাঝি
হাল ধরেছি শক্ত করে রে।।

জীবন কাটে যুদ্ধ করে প্রানের মায়া সাঙ্গ করে
জীবনের সাধ নাহি পাই  (ও)
ঘরবাড়ির ঠিকানা নাই দিন রাত্রি জানা নাই
চলার সীমানা সঠিক নাই
জানি সুধু চলতে হবে এ তরী বাইতে হবে
আমি যে সাগর মাঝি রে।।

জীবনের রঙ্গে মনকে টানে না
ফুলের ঐ গন্ধ কেমন জানি না
জোছনার দৃশ্য চোখে পড়েনা না না না
তারা তো ভুলেও কভূ ডাকেনা ।

বৈশাখের ঐ রুদ্র ঝড়ে আকাশ যখন ভেঙ্গে পড়ে
ছেড়াপাল আরো ছিড়ে যায় 
হাতছানি দেয় বিদ্যুৎ আমায় হঠাত কিযে সঙ্খ শোনায়
দেখি ঐ ভোরের পাখি গায়
তবু তরি বাইতে হবে খেয়াপাড়ি দিতে হবে
যতই ঝড় উঠুক সাগরে।।

আমায় যদি প্রশ্ন করে


আমায় যদি প্রশ্ন করে আলো নদীর এক দেশ
বলবো আমি বাংলাদেশ।
আমায় যদি প্রশ্ন করে কল কাকলীর দেশ
বলবো আমি বাংলাদেশ।।

এক সুর্যের হাজার আলোর কনা
ছড়িয়ে এ মাটি করলো আরো সোনা
আমায় যদি প্রশ্ন করে মায়বতী কোন দেশ
বলবো আমি বাংলাদেশ।।

নব দিগন্তে নতুন চলার তিথি
মেলছে এজীবন সম্ভাবনার তিথি
আমায় যদি প্রশ্ন করে কাব্যগীতির কোন দেশ
বলবো আমি বাংলাদেশ।।